আর পাঁচটা দিনের মতই স্বাভাবিক কাটছিলো মধ্যমগ্রাম লাগোয়া আবদালপুরের সুমন মাঝির। পেশার স্টুডেন্ট সুমন কলেজের পাশেই মেসে ভাড়া থাকে। সাথে আরও কয়েকজন মেস মেম্বারও একসাথে সেখানে থাকত, কিন্তু সেদিন হঠাত এমন একটি কান্ড ঘটে গেলো সুমনের জীবনে যাতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে জল্পনা।
গত মঙ্গলবার ছিলো জঙ্গল সাফ করার দিন, তাই তড়িঘড়ি সকালে উঠেই ট্রিমার রেজার নিয়ে বাথরুমে ছোটে সুমন, সকাল গুড়ুগুড়ু আওয়াজ তুলে জঙ্গলে পরিষ্কার শুরু করেন তিনি। হঠাত চিৎকার। আমার সব শেষ বলে চিকার করে ওঠে সুমন।
ব্যপার হলো, মেসের রান্নার মাসি রান্না করছিলেন, তেলের উপর লঙ্কা চিরে দিতেই হ্যাচ্চোর উদ্রেক হয় সকলের, বাথরুমে কাজ করতে করতে হঠাত জোরে হ্যাচ্চো মারতেই কোপ পড়ে ঝুলে থাকা সম্পত্তিতে। গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে।
সুমনের বন্ধুরা জানাচ্ছেন, “শীতকাল থাকায় বিচি চুপসে থাকে, তাই বেশি ক্ষতি হয়নি, ডাক্তার হাত বুলিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিতেই ঠিক হতে শুরু করেছে সুমন, গরমকাল হলে ঝুলন্ত ঝোলা কলা সব উড়ন্ত হয়ে যেত”। তবে ফিলিপস ট্রিমার আর কিনবেন না বলে জোর সওয়াল করছেন সুমন।