বগলের চুল না কেটে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রেখে হাঁটু অব্দি নামিয়ে রেকর্ড করে ফেলেছেন উত্তরবঙ্গের সুমন নামে একজন মুদি দোকানদার। দীর্ঘ ১০ বছরের সাধনায় তিলে তিলে তার স্বপ্নের সীমায় পৌছান সুমন। আসুন জেনে নি তার স্বপ্নপূরণের ইতিহাস।
এ ই স্বপ্নপূরণের পথটা অতটাও সহজ ছিলো না সুমনের; ঘরে বাইরে পাড়ার লোকের কাছে নানাভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে তাকে। জীবনে হারিয়েছেন অনেক বন্ধু প্রিয় বান্ধবীকেও। বগলের বোটকা গন্ধে অনেকেই তার কাছে ভিড়তে চাইত না; তাকে ঘেন্নার দৃষ্টিতে দেখত আর হাসাহাসি করত।
এমন অবস্থার ভিড়ে তার কিছু ব্যতিক্রমীও ছিলো। অনেকে তাক এ ব্যপারে উৎসাহ দিত। আশানুরূপ ফল পাওয়ার পর অনেকেই তার এই উন্মাদনায় সাড়া দিত,ভালো বাসতে শিখত; কিতু সবাই ক্ষনস্থায়ী। অনেকেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে জীবনে।
সুমন বলেন, “কেউ যদি বন্ধু হত, দুদিন পর আবার সে আমায় ঘেন্না করতে শুরু করত, আমার একটা গার্লফ্রেন্ড হয়েছিলো- সে আমার বগলের চুলে হাত বোলাতে পছন্দ করত; কিন্তু তার বাড়ির লোক মানতে চায়নি, বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল, কোমর অব্দি বিনুনী করবো” ।
বদলের চুলে বিনুণি করতে করতে সুমন আরও বলেন। “অনেক আত্মীয় আসে বাড়িতে, আমার বগলের চুল ধরে ঝুলে টারজান তারজান খেলে তাদের বাচ্চা ছেলেমেয়েরা, আমি কিছু মনে করিনা, তারা বিকৃত সুখ পায় এতে”।
কিভাবে মেনটেন করেন এই চুল, জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হয়, স্নান করে চিরুণি দিতে হয়,নইলে উকুন হয়। ওনার চুল যেহেতু কোকড়ানো তাই শীত আসার আগে স্ট্রেইট করাতে পার্লারে জাবেন বলে জানালেন সুমন।
তিনি নাকি এতটাই ফেমাস দূর দূরন্ত থেকে লোক তাকে দেখতে আসছে, চুলে হাত বুলিয়ে মজা পাচ্ছে; রাহুল বলেন ভিড় বাড়লে তিনি ২টা মাথাপিছু টিকিটের ব্যবস্থা করবেন, দোলনা বানাবেন চুলে। এখন সন্ধ্যে হতেই পাড়ার ক্লাবে ঝোলাঝুলির আসব বসে।
গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য চেষ্টায় আছেন সুমন, নাহলে নিলামে বিক্রি করে দেবেন ওনার এই অবিস্মরণীয় কীর্তি। আমাদের সাংবাদিক কিছুক্ষণ ধরে তার বগলের চুল ধরে ঝোলাঝুলি করে স্টুডিওতে ফিরে আসেন। তবে ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারণ উনি ফটো তুলতে দেননি।