বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেলো পাকিস্তান; গত ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচে ভারতের জয়ের সাথে সাথে পয়েন্ট তালিকায় কার্যত পিছিয়ে পড়লো পাকিস্তান। হাতে মাত্র একটি ম্যাচ বেঁচে পাকিস্তানের। সেটা জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়েই থাকবে পাকিস্তান। উপরন্তু বাংলাদেশের হাতে এখনও দুটো ম্যাচ বেঁচে তাই পাকিস্তানের উপরে এগিয়ে যাবে তাদের।
তবে অপরাজিত তকমাটা আর থাকল না। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হারল ভারত। এজবাস্টনে ভারতকে ৩১ রানে হারাল ইংল্যান্ড। আর এই জয়ের সুবাদেই ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখল ব্রিটিশ দল। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ব্রিটিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো।
এদিন এজবাস্টনে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যান। শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করে রাখেন দুই ব্রিটিশ ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ৫৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন জেসন রয়। শতরান করেন বেয়ারস্টো। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ৫৪ বলে ৭৯ রানের ইনিংস আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
৮ বলে ২০ রানের ইনিংস আসে জস বাটলারের ব্যাট থেকেও। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একমাত্র সামিই ৫ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান জশপ্রীত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব। ভারতের সামনে ৩৩৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে ইংল্যান্ড। বিরাট লক্ষ্যের সামনে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ৯ বল খেলে কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কে এল রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেও তাঁদের ব্যাটিং ছিল মন্থর।
বিরাট অর্ধশতরান করে আউট হয়ে ফিরতেই আরও চাপে পড়ে যায় ভারত। বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। এরপর রোহিত-ঋষভ রানে গতি আনেন। তবে রোহিত শতরান করে ফিরতেই আবার ধাক্কা। হার্দিক ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেললেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ধোনি ৩১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ঠিকই, কিন্তু ভারতের জয় ছিনিয়ে আনতে পারেননি। ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৭।
তার মধ্যেই কার্যত ছিটকে হুঙ্কার দিয়েছেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন সর্পরাজ-তিনি বলেন “২০২৩ এ ঠিক দেখে নেবে ভারতকে” তার এই কথায় এখন থেকে আতঙ্কে আছে ভারতবাসী। সর্পরাজকে তবে পারবে এই বদলা নিতে? আপনার কি মনে হয়?